BREAKING NEWS

Thursday, May 21, 2020

আজ ২১/৫/২০ দেশে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৭৭৩ জন সর্বোচ্চ মৃত্যু ২২জনের

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১ হাজার ৭৭৩ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। মারা গেছেন সর্বোচ্চ ২২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৯ জন ও নারী ৩ জন। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত ২৮ হাজার ৫১১ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। মারা গেছেন ৪০৮ জন।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানানো হয়।
বুধবার দেশে করোনায় সংক্রমিত ১ হাজার ৬১৭ জন শনাক্ত হওয়ার কথা জানানো হয়। মারা গিয়েছিলেন ১৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২২ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগের ১ জন ও সিলেট বিভাগের ৩ জন ।
মারা যাওয়া ব্যক্তিদের বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৩ জন , ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ২ জন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ২ জন মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩৯৫ জন। এ নিয়ে সর্বমোট ৫ হাজার ৬০২ জন সুস্থ হয়েছেন।
ব্রিফিংয়ের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজার ২৬২ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়। এ পযর্ন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার ১১৪টি।
দেশে এখন ৪৭টি ল্যাবে (পরীক্ষাগার) করোনা পরীক্ষা করা হয়। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্তের ঘোষণা আসে। ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
করোনার ঝুঁকি এড়াতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা অনলাইন ব্রিফিংয়ে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য আহ্বান জানান।

Friday, May 15, 2020

ভৈরবে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত ৭ জন, মোট আক্রান্ত ৫৯ জন।

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মে) নতুন করে আরও ০৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ বুলবুল আহমেদ। তিনি ভৈরব উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব।

গত ১১/০৫/২০২০ তারিখে ভৈরব উপজেলার করোনা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসা ৩৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। তাদের মধ্যে আজ ৭ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এবং ২৮ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ।

প্রসঙ্গত, এখন পর্যন্ত ভৈরব উপজেলা থেকে মোট ৫৪৫ জনের নতুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫৯ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে এবং ৪৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলে জানা গেছে। তাছাড়া গত ১২ মে এবং ১৩ মে'র সংগ্রহকৃত নমুনার রিপোর্ট এখনো পেন্ডিং আছে।

Thursday, May 14, 2020

রায়পুরায় প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের নিঃস্বার্থ উদ্যোগে ২৬০টি পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ!

আজ নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলায় মির্জাপুর ইউনিয়নের মাহমুদাবাদ রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দোগে  ২৬০ টি পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী (বাড়িতে বাড়িতে) বিতরণ করা হয়েছে।

আজ (১৪মে) বৃহস্পতিবার প্রাণঘাতী মহামারী করুনার প্রাদুর্ভাবে খেটে খাওয়া কর্মহীন মানুষের খাদ্য সঙ্কট লাগবের উদ্দেশ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে। বিদ্যালয়ের মাঠে প্রধান শিক্ষক মোঃ ফারুক মিয়া উপস্থিতিতে এসব সামগ্রী আশেপাশের এলাকাসমূহের প্রত্যেকের বাড়ী বাড়ীতে ত্রানসামগ্রী বিতরন করা হয়। খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ছিল ১০ কেজি চাল ৩ কেজি আলু ১ কেজি ডাল ১ লিটার সয়াবিন তেল এবং ১ কেজি পেঁয়াজ ও ১ পেকেট সেমাই। তহবিল সংগ্রহের আহবায়ক ছিলেন একে কে এম মিলন মাহমুদাবাদ রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু উচ্চ বিদ্যালয় ২০০৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্যোগে তহবিল সংগ্রহ করে প্রায় ২ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ২৬০ টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে এই ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। করুনায় সামাজিক নিরাপত্তা দুরত্ব বজায় রাখার স্বার্থে ছাত্রদের নিজ উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী অসহায় ব্যক্তিদের বাড়ি বাড়ি ভ্যানযোগে পৌঁছে দেওয়া হয়। উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ফারুক মিয়া জানান,প্রাক্তন ছাত্রদের এমন উদ্যোগকে অভিনন্দন ও সাধুনাদ জানাই।সকলের সুস্থতা ও সার্বিক মঙ্গল কামনা করি। অবশেষে প্রাক্তন ছাত্রী সকলে জানায় এরকম মহৎ কাজ অদূর ভবিষ্যৎ এ চালু রাখবেন। সবাই ভাল থাকুন নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন ঘরে থাকুন সুস্থ থাকুন। তথ্য সংগ্রহে মোঃ রহমত উল্লাহ ভূঁইয়া স্কুলের ২০০৮ সালের প্রাক্তন ছাত্র, রায়পুরা,নরসিংদী।

Saturday, May 9, 2020

নরসিংদীতে নতুন ৭ জনসহ করোনায় আক্রান্ত-২০৮, সুস্থ্য-১৪০, মৃত-২ জন


আজ ০৯/০৫/২০২০ ইং নরসিংদীতে মোট রোগীর সংখ্যা ২০৮ জন আইসোলেশনে আছেন ৬৬ জন। মৃত জন। আইসোলেশন মুক্ত ১৪০ জন। মোট নমুনা সংগ্রহ ১৪৮০ জনের। আজ  শনিবার (৯ মে) দুপুরে নরসিংদীর সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম টিটন তথ্য নিশ্চিত করেছেন

উপজেলা ভিত্তিক বিভাজন নিন্মে দেওয়া হলঃ-

নরসিংদী সদর উপজেলায় মোট স্যাম্পল কালেকশন ৬৯৮ জন আইসোলেশন ৩৬ আইসোলেশন মুক্ত ৭৯ জন মৃত ১ জন মোট সনাক্ত ১১৬ জন
         
শিবপুর উপজেলায় মোট স্যাম্পল কালেকশন ১৩৪ জন আইসোলেশন ১৫ আইসোলেশন মুক্ত ৩ জন মৃত ০ জন মোট সনাক্ত ১৮ জন

পলাশ উপজেলায় মোট স্যাম্পল কালেকশন ২০০ জন আইসোলেশন ৮ আইসোলেশন মুক্ত ৮ জন মৃত ১ জন মোট সনাক্ত ১৭ জন

মনোহরদী উপজেলায় মোট স্যাম্পল কালেকশন ১২৩ জন আইসোলেশন ০ আইসোলেশন মুক্ত ৫ জন মৃত ০ জন মোট সনাক্ত ৫ জন
বেলাব উপজেলায় মোট স্যাম্পল কালেকশন ১০০ জন আইসোলেশন ২ আইসোলেশন মুক্ত ২৩ জন মৃত ০ জন মোট সনাক্ত ২৫ জন

রায়পুরা উপজেলায় মোট স্যাম্পল কালেকশন ২২৫ জন আইসোলেশন ৫ আইসোলেশন মুক্ত ২২ জন মৃত ০ জন মোট সনাক্ত ২৭ জন

নরসিংদী জেলায় সর্বমোট (স্যাম্পল কালেকশন ১৪৮০ জন আইসোলেশন ৬৬ আইসোলেশন মুক্ত ১৪০ জন মৃত ২ জন মোট সনাক্ত ২০৮ জন)

এবার আক্রান্ত পুরুষের শুক্রানুতেও মিলল করোনা!

করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। চীনের উহানে চার মাসে আগে তাণ্ডব শুরু করে এই ভাইরাস। বর্তমানে চীনের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বব্যাপী ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে করোনা। ইতোমধ্যে এই ভাইরাস বিশ্বের ২১২টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।

এসব দেশে এখন পর্যন্ত (শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টা) আক্রান্ত হয়েছে ৩৯ লাখ ১৭ হাজার ৯৪৪ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৭০ হাজার ৭৪০ জনের।

করোনাভাইরাস এতটাই ভয়ঙ্কর যে বিজ্ঞানীরা এর অস্তিত্ব খুঁজে  পেয়েছেন আক্রান্ত পুরুষের শুক্রানুতেও। চীনের গবেষকরা এ তথ্য জানিয়েছেন। সে অনুসারে, শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়ানোর শঙ্কা আরও প্রকট আকারে দেখা দিয়েছে।

তবে আক্রান্ত পুরুষের শুক্রানুতে কী পরিমাণ ভাইরাসের উপস্থিতি দেখা গেছে এবং শারীরিক সম্পর্কের ফলে করোনা সংক্রমণ ঘটতে পারে কি না, সে ব্যাপারে গবেষকরা এখনও কোনও তথ্য প্রকাশ করেননি।

চিকিৎসা বিষয়ক জার্নাল জামা নেটওয়ার্ক গবেষণাটির ফলাফল প্রকাশ করেছে। চীনের শাংকিউ মিউনিসিপ্যাল হসপিটালের গবেষকরা এ ব্যাপারে গবেষণাটি করেছেন।

শুক্রানুতে করোনাভাইরাস থাকার ব্যাপারে গবেষণার ফল এটাই প্রথম পাওয়া গেল। করোনা পজিটিভ হলে নিরাপদ শারীরিক সম্পর্কের বিষয়গুলো কেমন হবে, তা জানার জন্য নতুন গবেষণা দরকার বলে মনে করছেন গবেষকরা। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, এই গবেষণা পরবর্তীতে করোনা সম্পর্কিত শারীরিক সম্পর্কের বিষয়ে গবেষণার পথ উন্মোচন করবে।

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) চীফ মেডিকেল অফিসার জন ব্রুকস মনে করেন, এটা চমৎকার ফল। তবে তিনি মনে করেন, এর অর্থ এই নয় যে শুক্রানু সংক্রামক হয়ে উঠবে।

তিনি আরও বলেন, যখন আমরা সবখানে এই ভাইরাসটি দেখছি, শরীরের বিভিন্নখানেই এর উপস্থিতি রয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তির অবস্থানস্থলেও এই ভাইরাস পাওয়া যাচ্ছে। সে কারণে এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা কঠিন।

সিডিসির গবেষকরা মনে করেন, আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশি থেকে ছড়ানো ড্রপলেটের মাধ্যমে করোনাভাইরাস অন্যদের শরীরে সংক্রমণ ঘটায়। শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে আরো নির্দিষ্ট করে বললে শুক্রানুর মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের প্রমাণ তারা পাননি। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, সিএনএন

করোনাকালে বাংলাদেশে জন্ম নেবে ২৪ লাখ শিশু: ইউনিসেফ

নোভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারিতে রূপ নেয়ার পর থেকে ৪০ সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশে আনুমানিক ২৪ লাখ শিশু জন্ম নেবে। আর চলমান লকডাউনের কারণে এসব শিশু ও তাদের মায়েরা স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে পড়বে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।

সংস্থাটি বলছে, চলমান পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা আক্রান্ত রোগীদের স্বাস্থ্যসেবাকে প্রাধান্য দিচ্ছে এবং তা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। এর ফলে প্রসূতি ও নবজাতকদের স্বাস্থ্য সেবা যথাযথ গুরুত্ব না পাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

ইউনিসেফ বলছে, ১১ মার্চ কোভিড-১৯ কে মহামারি ঘোষণার পর থেকে প্রায় ১০ মাসে বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে আনুমানিক ১১ কোটি ৬০ লাখ শিশুর জন্ম হবে।

সংস্থাটির এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রসূতি মা ও নবজাতকদের রূঢ় বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হবে। বিশ্বজুড়ে লকডাউনসহ নিয়ন্ত্রণমূলক নানা পদক্ষেপ; মহামারি সামলাতে চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রগুলোর হিমশিম অবস্থা ও সরঞ্জামের ঘাটতি এবং ধাত্রীসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা কোভিড-১৯ রোগীদের সেবাদানে নিয়োজিত থাকায় শিশুর জন্মের সময় দক্ষ লোকবলের ঘাটতি থাকবে।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি তোমো হোযুমি বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা/ হাসপাতাল গুলোর ওপর চাপ সত্ত্বেও অন্তঃসত্ত্বা মা ও নবজাতকের জীবনরক্ষাকারী রুটিন সেবাসমূহ যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা মেনে অব্যাহত রাখা দরকার।

একই সঙ্গে অনাগত মাসগুলোতে অন্তঃসত্ত্বা মা ও অসুস্থ নবজাতকদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রাপ্তি নিশ্চিত করার মাধ্যমে জীবনরক্ষায় সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করছে ইউনিসেফ।

এদিকে শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ১৩ হাজার ১৩৪ জনের শরীরে। এদের মধ্যে মারা গেছেন ২০৬ জন এবং সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ২১০১ জন।

স্ত্রীর সঙ্গে জোর করে স্বামীও আইসোলেশনে

করোনাভাইরাসে সংক্রমিত এক নারীকে উপজেলার গোপীনাথপুর ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় তার স্বামীও এখন জোর করে আইসোলেশন ইউনিটে স্ত্রীর পাশে থাকছেন।

বৃহস্পতিবার (৭ মে) তথ্যটি নিশ্চিত করে গোপীনাথপুর ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশন ইউনিটের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক শাহিন রেজা গণমাধ্যমকে বলেন, গতকাল বুধবার করোনায় আক্রান্ত ওই নারীকে আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তখন তার স্বামী জানান, তারা একই সঙ্গে আইসোলেশনে থাকতে চান। পরে উপায় না পেয়ে স্বামীকেও সেখানে রাখা হয়েছে।


এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন সেলিম মিঞা বলেন, ওই নারীকে আইসোলেশন ইউনিটে আনা হলে তার স্বামীও সেখানে ঢুকে পড়েন। তাকে বের করে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, ওই আইসোলেশন ইউনিটে আরো একটি অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটেছে। সেখানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দ্বিতীয় তলায় ভর্তি থাকা এক তরুণীর সঙ্গে তৃতীয় তলায় থাকা এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।

দুটি ঘটনা নিয়েই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন চিকিৎসক শাহিন রেজা।

বিশ্বব্যাপী ৪০ লাখ ছাড়াল করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা

বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। ওয়ার্ল্ডো মিটারে সর্বশেষ আপডেটকৃত তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ৪০ লাখ ১২ হাজার ৮৩৭ জনের শরীরে।

এছাড়া ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২ লাখ ৭৬ হাজার ২১৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১৩ লাখ ৮৫ হাজার ১৪১ জন।

বর্তমানে ভাইরাসটির উপস্থিতি রয়েছে ২৩ লাখ ৫১ হাজার ৪৮০ জনের শরীরে। এদের মেধ্য ২৩ লাখ ২ হাজার ৭৮১ জনের সংক্রমণ মৃদু এবং ৪৮ হাজার ৬৯৯ জনের অবস্থা গুরুতর।

সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ১৩ লাখ২১ হাজার ৭৮৫ জনের শরীরে। দেশটিতে এ প্রাদুর্ভাবে মারা গেছেন ৭৮ হাজার ৬১৫ জন।
বাংলাদেশে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ১৩ হাজার ১৩৪ জনের শরীরে এবং মারা গেছেন ২০৬ জন।

Friday, May 8, 2020

মাধবদীতে এক‌ই পরিবারের ৯ সদস্য করোনায় আক্রান্ত

মাধবদী প্রতিনিধি:
নরসিংদীর মাধবদীতে একদিনে সর্বোচ্চ ১১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ৯ জনই এক পরিবারের সদস্য এবং বাকী ২ জন পুরাতন রোগী বলে জানিয়েছেন নরসিংদীর সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ ইব্রাহিম টিটন। গত ০৬ মে পরীক্ষার জন্য নরসিংদী থেকে ঢাকায় প্রেরণকৃত মোট ৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২০ জনের করোনা পজিটিভ ফলাফল আসে (০৭ মে প্রাপ্ত ফলাফল)। 

এর মধ্যে ৯ জনই জন মাধবদীর এক পরিবারের সদস্য। 
আক্রান্ত এই পরিবারটি মাধবদী বাজার ব্যাংকপট্টির ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) ভবনের বাসিন্দা। ইতোমধ্যেই ইউসিবি ব্যাংকসহ ওই চারতলা ভবনটি লকডাউন করেছে প্রশাসন। এনিয়ে মাধবদীতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ জনে। এর আগে মাধবদী পৌর এলাকার আলগী মনোহরপুরে এক পরিবারে ৩ জন এবং মেহেরপাড়া ইউনিয়নের ভগীরথপুরের একজন করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়। আক্রান্ত ব্যক্তিদের সবাই বর্তমানে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। তবে গতকালের ফলাফলে মনোহরপুরের আক্রান্ত পরিবারের তিনজনের মধ্যে একজনের নেগেটিভ  এবং বাকি দুজনের পুণরায় পজেটিভ ফলাফল আসে।

এদিকে, করোনা উপসর্গ দেখা দেয়ার প্রায় একসপ্তাহ পর গত বুধবার (০৬ মে) রাতে মাধবদীর কাশিপুরে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তার নমুনাও সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন নরসিংদী জেলা করোনা প্রতিরোধ ইমারজেন্সি সেলের প্রধান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইমরুল কায়েস। আজ শুক্রবার তার ফলাফল আসার কথা রয়েছে। এছাড়াও গত ১৯ এপ্রিল  ঢাকার কুর্মিটোলায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমির হোসেন (৪৫) নামের ব্যক্তি  মারা যান। পরে তার নমুনা পরীক্ষায় ফলাফল পজেটিভ আসে।

শিল্পশহর মাধবদীতে পরপর করোনার সংক্রমণের ঘটনায় সচেতন মহলে ব্যাপক উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। একদিকে এখানকার বাজার, ব্যাংকসহ সর্বত্র অসচেতন মানুষের ব্যাপক ভিড়, অন্যদিকে ১০ তারিখ থেকে সীমিত পরিসরে দোকানপাট খোলার ঘোষণায় দূরদূরান্ত থেকে নতুন করে লোকজন আসা শুরু করেছে। এ অবস্থায় কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে মাধবদীতে ব্যাপক মানুষ আক্রান্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা সচেতন মহলের।

১৫ মে থেকে বাজারে মিলবে রাজশাহীর আম

রাজশাহীর গুটি জাতের আম চলতি মাসের ১৫ মে থেকে বাজারে পাওয়া যাবে। আর সুস্বাদু অন্যান্য জাতের আম পেতে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন আম চাষিরা।


আমচাষি ও বাগান মালিকদের উদ্দেশে রাজশাহী জেলা প্রশাসন বলেছে, নির্ধারিত সময়ের আগে কোনোভাবেই অপরিপক্ক আম সংগ্রহ কিংবা বাজারে তোলা যাবে না। আম পাকানো ও সংরক্ষণ বা বাজারজাতে কোনো কেমিক্যাল মেশানো যাবে না।

এদিকে করোনার কারণে এ মৌসুমে নিরাপদ ও বিষমুক্ত আম উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, পরিবহন এবং ভোক্তা পর্যায়ে বিপণনে বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসেনর নির্দেশনা অনুযায়ী, এ মৌসুমে গোপালভোগ আম নামাবে ২০ মে থেকে। এর পাঁচদিন পর ২৫ মে থেকে নামাবে লক্ষণভোগ, লখনা এবং রাণীপছন্দ। হিমসাগর, ক্ষিরসাপাত আম নামবে আরও তিন দিন পর ২৮ মে। আগামী ৬ জুন থেকে নামবে ল্যাংড়া আম। এরপর ১৫ জুন থেকে আম্রপালি ও ফজলি নামবে। আর মৌসুমের শেষে আশ্বিনা ও বারি আম-৪ নামবে ১০ জুলাই থেকে।

 জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, নিরাপদ ও বিষমুক্ত আম উৎপাদনে প্রত্যেক উপজেলায় আলাদা কমিটি থাকবে। এই কমিটি অসময়ে আম নামানো এবং আমে কেমিক্যাল মেশানো ঠেকাতে আমবাগান, কেমিক্যাল বিক্রির দোকান এবং আমের আড়ত পরিদর্শন করবে। জনসচেতনতা সৃষ্টি ছাড়াও তারা আইন অমান্যকারীদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনবেন।

করোনা আক্রান্তরা কখন ছাড়পত্র পাবেন

করোনায় আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতাল ছাড়া প্রসঙ্গে নির্দেশনা দিয়েছে কভিড-১৯ কারিগরী কমিটি । তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী একজন করোনা রোগীতে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র কখন দেয়া হবে সে প্রসঙ্গে সুপারিশ করা হয়েছে।

শুক্রবার (৮ মে) দুপুরে করোনা ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।


তিনি বলেন, প্যারাসিট্যামল ব্যতীত জ্বর সেরে গেলে। শ্বাসকষ্ট বা তার কোনো উপসর্গ যেমন শুষ্ক কাশি, কফ, নিশ্বাসের দুর্বলতা এগুলো লক্ষণের উন্নতি হলে। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পর পর দুটি আরটিপিসিআর পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ হলে।

তবে শুধু ন্যাজোফেরিয়াল সোয়াবের ক্ষেত্রে যদি দুটি আরটিপিসিআর পরীক্ষা করা সম্ভব না হয় উপরের লক্ষণগুলো যদি টানা ৭২ ঘণ্টা না থাকে তবে রোগীকে হাসপাতালের ছাড়পত্র দেয়া যাবে। ছাড়পত্র পেয়ে রোগীকে বাসায় গিয়ে অবশ্যয় নিজেকে ১৪ দিন আইসোলেশনে রাখতে হবে।

এ সময় ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ হাজার ৭০৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আগের কিছু মিলিয়ে মোট পরীক্ষা করা হয় ৫ হাজার ৯৪১টি নমুনা। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১ লাখ ১১ হাজার ৪৫৪টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ৭০৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৩ হাজার ১৩৪ জন। এ ছাড়া আরও ৭ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২০৬ জনে। যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পাঁচ জন পুরুষ এবং দুজন নারী।

তিনি জানান, আক্রান্তদের মধ্যে আরও ১৯১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ২১০১ জন করোনা রোগী।

ডিসেম্বরে প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে বেশিরভাগ দেশই ভাইরাসটিতে তেমন পাত্তা দেয়নি। অনেক দেশই ধারণা করেছিল, এটি চীনা ভাইরাস এবং এর সংক্রমণ হয়তো ইউরোপ-আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়বে না। এজন্য সেখানকার দেশগুলো তেমন কোনো পদক্ষেপও নেয়নি। ফলও দিতে হচ্ছে তাদের। কারণ সংক্রমণ সংখ্যার দিক থেকে প্রথম দেশগুলোর তালিকার মাঝেই নেই চীন।

বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়ানো হয় সেই ছুটি, যা এখনও অব্যাহত আছে। পঞ্চম দফায় সেই ছুটি বাড়ানো হয় ৫ মে পর্যন্ত। তার আগেই আরেক দফা ছুটি বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়।

করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার তথ্যানুযায়ী শুক্রবার (৮ মে) সকাল পৌনে ৯টা পর্যন্ত  বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ লাখ ৭০ হাজার ৭১১ জন। এছাড়া এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৩৯ লাখ ১৬ হাজার ৩৩৮ জনের শরীরে।

শুক্রবার (৮ মে) সকাল ৯টা পর্যন্ত এ সংখ্যা নিশ্চিত করেছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার। এরইমধ্যে ২১২টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস।

আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩ লাখ ৪৩ হাজার ৫৪ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ২৩ লাখ ২ হাজার ৫৭৩ জন। এদের মধ্যে ২২ লাখ ৫৩ হাজার ৬১৫ জনের শরীরে মৃদু সংক্রমণ থাকলেও ৪৮ হাজার ৯৫৮ জনের অবস্থা গুরুতর।

বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ৩৯ লাখ ১৬ হাজার

বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯ লাখ ১৬ হাজার ৩৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে। ২১২টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাস শুক্রবার (৮ মে) সকাল ৯টা পর্যন্ত ২ লাখ ৭০ হাজার ৭১১ জন মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়ার্ল্ডোমিটারে এ সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়েছে।


আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩ লাখ ৪৩ হাজার ৫৪ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ২৩ লাখ ২ হাজার ৫৭৩ জন। এদের মধ্যে ২২ লাখ ৫৩ হাজার ৬১৫ জনের শরীরে মৃদু সংক্রমণ থাকলেও ৪৮ হাজার ৯৫৮ জনের অবস্থা গুরুতর।

ভাইরাসটির আক্রমণে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা প্রভাবশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৭৬ হাজার ৯২৮ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ১২ লাখ ৯২ হাজার ৬২৩ জন।

মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরের অবস্থানে উঠে এসেছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার ৬১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৬ হাজার ৭১৫ জন।
মৃত্যুর তালিকার তিন নম্বরে রয়েছে ইউরোপের দেশ ইতালি। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৯ হাজার ৯৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ১৫ হাজার ৮৫৮ জন।

এর পরের অবস্থানেই রয়েছে স্পেন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৬ হাজার ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে অবশ্য ২য় অবস্থানে রয়েছে এ দেশটি। এখানে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৮৫৫ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

মৃত্যুর তালিকায় এর পরের অবস্থানে রয়েছে ফ্রান্স। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৫ হাজার ৯৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৭৪ হাজার ৭৯১ জন।

এদিকে জার্মানিতে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৪৩০ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার ৩৯২ জনের। তুরস্কে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৭২১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এখানে মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ৩ হাজারের বেশি মানুষের। রাশিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৭৭ হাজার ১৬০ জন, মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৬২৫ জনের। কানাডায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৪ হাজার ৯২২ জন, মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৪০৮ জনের।

ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয় চীনে। সেখানে এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮২ হাজার ৮৮৬ জন এবং মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৩৩ জন।

এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ইরানে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৩ হাজার ১৩৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৪৮৬ জনের।

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ১২ হাজার ৪২৫ জনের শরীরে। এদের মধ্যে মারা গেছেন ১৮৬ জন এবং সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৫৩৩ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ১০ হাজার ৭০৬ জন।

ডিসেম্বরে চীনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া গেলেও বাংলাদেশে ভাইরাসটি শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। ওইদিন তিন জন করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা অনেকটাই সমান্তরাল ছিল। কিন্তু এরপর থেকে বাড়তে থাকে রোগীর সংখ্যা।

আজ নতুন আক্রান্ত ৭০৯ জন এবং মোট আক্রান্ত ছাড়াল ১৩ হাজার, মৃত্যু দুই শতাধিক

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৭০৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৩ হাজার ১৩৪। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০৬ জনে। শুক্রবার (৮ মে) দুপুরে করোনা ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

বিশ্বব্যাপী মহামারি রূপ নেয়া করোনাভাইরাসে প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। বাংলাদেশেও আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।

 তিনি জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ হাজার ৭০৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আগের কিছু মিলিয়ে  মোট পরীক্ষা করা হয় ৫ হাজার ৯৪১টি নমুনা। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১ লাখ ১১ হাজার ৪৫৪টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ৭০৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৩ হাজার ১৩৪ জন। এ ছাড়া আরও ৭ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২০৬ জনে। যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পাঁচ জন পুরুষ এবং দুজন নারী।

 নাসিমা সুলতানা আরও জানান, আক্রান্তদের মধ্যে আরও ১৯১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ২১০১ জন করোনা রোগী।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আরও ৭০৬ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে জানানো হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে। এছাড়া গতকাল বুলেটিনে করোনায় মৃতের সংখ্যা না জানিয়ে পরে বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েব সাইটে একদিনে দেশে সর্বোচ্চ ১৩ জনের মৃত্যুর খবর প্রকাশ করা হয়।

ডিসেম্বরে প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে বেশিরভাগ দেশই ভাইরাসটিতে তেমন পাত্তা দেয়নি। অনেক দেশই ধারণা করেছিল, এটি চীনা ভাইরাস এবং এর সংক্রমণ হয়তো ইউরোপ-আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়বে না। এজন্য সেখানকার দেশগুলো তেমন কোনো পদক্ষেপও নেয়নি। ফলও দিতে হচ্ছে তাদের। কারণ সংক্রমণ সংখ্যার দিক থেকে প্রথম দেশগুলোর তালিকার মাঝেই নেই চীন।

বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়ানো হয় সেই ছুটি, যা এখনও অব্যাহত আছে। পঞ্চম দফায় সেই ছুটি বাড়ানো হয় ৫ মে পর্যন্ত। তার আগেই আরেক দফা ছুটি বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার তথ্যানুযায়ী শুক্রবার (৮ মে) সকাল পৌনে ৯টা পর্যন্ত  বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ লাখ ৭০ হাজার ৭১১ জন। এছাড়া এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৩৯ লাখ ১৬ হাজার ৩৩৮ জনের শরীরে।

শুক্রবার (৮ মে) সকাল ৯টা পর্যন্ত এ সংখ্যা নিশ্চিত করেছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার। এরইমধ্যে ২১২টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস।

আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩ লাখ ৪৩ হাজার ৫৪ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ২৩ লাখ ২ হাজার ৫৭৩ জন। এদের মধ্যে ২২ লাখ ৫৩ হাজার ৬১৫ জনের শরীরে মৃদু সংক্রমণ থাকলেও ৪৮ হাজার ৯৫৮ জনের অবস্থা গুরুতর।

করোনায় মৃত্যুর সঙ্গে ভিটামিন ডি-র সম্পর্ক রয়েছে, বলছেন গবেষকরা

ইউরোপের দেশগুলোতে করোনাভাইরাসে বেশি সংখ্যক মানুষের মৃত্যু এবং জনগণের শরীরে কম পরিমাণ ভিটামিন ডি থাকার মধ্যে সম্পর্কের বিষয়ে নতুন এক গবেষণায় জানা গেছে।

ইংল্যান্ডের ক্যামব্রিজে অবস্থিত অ্যাঙলিয়া রাসকিন ইউনিভার্সিটির গবেষক ডা. লি স্মিথ এবং কুইন এলিজাবেথ হসপিটালের ডা. পিটার ক্রিস্টিয়ান ইলি এ ব্যাপারে গবেষণা করেন। এজিং ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড এক্সপেরিমেন্টাল জার্নালে তাদের গবেষণার ফল প্রকাশ করা হয়েছে।

তাতে বলা হয়েছে, শরীরে ভিটামিন ডি কম থাকার কারণে দ্রুত ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্তের শঙ্কা থাকে। শ্বেত রক্ত কণিকা প্রাণবন্ত করে তোলার কাজ করে ভিটামিন ডি। কিন্তু শরীরে এর মাত্রা কম থাকলে ভাইরাস দ্রুত সংক্রমণ ঘটায়। করোনাভাইরাস মূলত রোগীদের শরীরে ভিটামিন ডি এর পরিমাণ কম থাকার সুযোগ নিচ্ছে।

ইতালি এবং স্পেনে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হার বেশি। এই গবেষণায় দেখা গেছে, উত্তর ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ওই দুই দেশের মানুষের শরীরে ভিটামিন ডি এর পরিমাণ কম। কারণ, হিসেবে গবেষকরা উল্লেখ করেছেন, সেসব দেশে বয়স্ক ব্যক্তিরা সূর্যের আলোতে সেভাবে থাকতে চান না। সে কারণে প্রাকৃতিক ভিটামিন ডি থেকে তারা বঞ্চিত হন।
সূর্যের আলোতে থাকতে অনীহার কারণে শরীরে গড় ভিটামিন ডি সেসব দেশের মানুষের কম। ডা. লি স্মিথ বলেন, ইউরোপের ২০টি দেশে আমরা পরিসংখ্যান চালিয়ে দেখেছি, যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে, তাদের শরীরে ভিটামিন ডি কম।

তিনি আরো বলেন, ভিটামিন ডি পারে করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে। যাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর উপস্থিতি কম, করোনা আক্রান্ত হলে তাদের পরিস্থিতি জটিল হয়ে যাচ্ছে। যারা গুরুতর আক্রান্ত অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছে, তাদেরও ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা যাচ্ছে।

সূত্র : এআরইউ

করোনার সংক্রমণ দ্বিতীয় মাসেই ৯৮%

প্রতীকী ছবিদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দিন দিন বাড়ছে। এখন পর্যন্ত আক্রান্তদের ৯৮ শতাংশই শনাক্ত হয়েছে সংক্রমণের দ্বিতীয় মাসে। আজ শুক্রবার দেশে করোনা (কোভিড-১৯) সংক্রমণ শনাক্তের দুই মাস পূর্ণ হচ্ছে।

বিশ্বে যেসব দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি, সেসব দেশেও প্রথম দুই মাসে মোট আক্রান্তদের ৯৮ শতাংশের বেশি শনাক্ত হয়েছিল দ্বিতীয় মাসে।

বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করছেন, বাংলাদেশে এখনো সংক্রমণের প্রথম ঢেউ চলছে। গত এক মাস পুরোটাই ছিল সরকারি ছুটি বা অনেকটা লকডাউন (অবরুদ্ধ) পরিস্থিতির মধ্যে। এর মধ্যেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। ইতিমধ্যে সীমিত পরিসরে পোশাক কারখানা চালু হয়েছে। দোকানপাটও খুলে দেওয়া হচ্ছে। ফলে নতুন ভাইরাসের সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

আক্রান্তের শীর্ষে থাকা দেশগুলোতেও সংক্রমণের তৃতীয় মাসে গিয়ে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে দেখা গেছে। বাংলাদেশেও রোগী বাড়ছে। তবে ওই সব দেশে সংক্রমণের দুই মাসের মাথায় আক্রান্তের সংখ্যা বাংলাদেশের চেয়ে বেশি ছিল। ওই দেশগুলোতে শনাক্তের পরীক্ষাও অনেক বেশি হয়েছে।

দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্তের খবর জানানো হয় ৮ মার্চ। এর এক মাসের মাথায় ৮ এপ্রিল দেশে মোট রোগী ছিলেন ২১৮ জন। ওই সময় পর্যন্ত সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছিল ২২ জেলায়। সংক্রমণ ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। প্রথম সংক্রমণ শনাক্তের দুই মাসের মাথায় এসে দেশে মোট রোগী শনাক্ত হন ১২ হাজার ৪২৫ জন। দ্বিতীয় মাসে আক্রান্ত বেড়েছে ১২ হাজার ৬০৭ জন, যা মোট শনাক্তের ৯৮ দশমিক ২৪ শতাংশ। গত এক মাসে নতুন ৪২টি জেলায় সংক্রমণ ছড়িয়েছে।
দেশে গতকাল পর্যন্ত আক্রান্তদের মধ্যে মোট ১৯৯ জন মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬০ শতাংশ। আর সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৯১০ জন। গতকাল পর্যন্ত সুস্থতার হার ১৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশে এখনো সংক্রমণের প্রথম ঢেউ চলছে। সামনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে দুই মাস শেষে মোট আক্রান্ত ছিলেন ১৫ হাজার ২১৯ জন। মোট আক্রান্তের ৯৯ দশমিক ৯০ ভাগই আক্রান্ত হয় দ্বিতীয় মাসে। ইতালিতে সংক্রমণের দুই মাসে মোট আক্রান্ত ছিলেন ৯২ হাজার ৪৭২ জন। এর ৯৮ দশমিক ৭৮ শতাংশই দ্বিতীয় মাসে আক্রান্ত হয়। স্পেনে দ্বিতীয় মাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ওই সময় পর্যন্ত মোট আক্রান্তের ৯৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ। যুক্তরাজ্যে প্রথম দুই মাসে মোট আক্রান্ত ছিলেন ২৫ হাজার ১৫৪ জন। এর ৯৯ দশমিক ৮৫ শতাংশই আক্রান্ত হয় দ্বিতীয় মাসে।

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে সংক্রমণ আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল তৃতীয় মাসে। প্রথম দুই মাসের তুলনায় তৃতীয় মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ৯৭ শতাংশ এবং যুক্তরাজ্যে ৮৫ শতাংশ রোগী বেড়েছিল। স্পেনে এটি ছিল ৫৫ ও ইতালিতে ৫৪ শতাংশ।

পরীক্ষা বাড়ছে, রোগীও বাড়ছে

দেশে শুরুতে শুধু রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পরীক্ষা সীমিত ছিল। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে পরীক্ষাকেন্দ্র বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। ৯ এপ্রিল প্রথম এক দিনে ১০০-এর বেশি রোগী শনাক্ত হয়। ১০ দিন ধরে প্রতিদিন ৫০০-এর বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এর মধ্যে তিন দিন ধরে দৈনিক শনাক্ত হচ্ছে ৭০০-এর বেশি রোগী।

২৩ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে মোট ৩৬ হাজার ৯০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। এখন ৩৪টি প্রতিষ্ঠানে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। গতকাল পরীক্ষাকৃত মোট নমুনার সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে। গতকাল পর্যন্ত মোট ১ লাখ ৫ হাজার ৫১৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা করা নমুনার ১১ দশমিক ৭৭ শতাংশ পজিটিভ বা সংক্রমিত। যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, যুক্তরাজ্য ও ইতালিতে পজিটিভ নমুনা পাওয়ার হার ৯ থেকে ১৬ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ৭০৬, মৃত্যু ১৩

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বুলেটিনে গত ২৪ ঘণ্টার হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৮৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ৭০৬ জনের দেহে সংক্রমণ পাওয়া যায়। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত দাঁড়ায় ১২ হাজার ৪২৫। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১৩০ জন।

গতকালের বুলেটিনে ২৪ ঘণ্টার মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়নি। পরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ জন মারা গেছেন। এঁদের মধ্যে ৮ জন পুরুষ, ৫ জন নারী। ৬ জন ষাটোর্ধ্ব, ৪ জনের বয়স ৫১-৬০ বছরের মধ্যে, ২ জন ৪১-৫০ বছরের মধ্যে। ১ জনের বয়স ১১-২০ বছরের মধ্যে, তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন।
ঢাকা ও আশপাশে সংক্রমণ বেশি

শুরুতে সংক্রমণ সীমিত ছিল বিদেশফেরত এবং তাঁদের সংস্পর্শে আসা মানুষদের মধ্যে। ২৬ মার্চের আগ পর্যন্ত আক্রান্ত ৩৯ জনের মধ্যে ১৪ জন ছিলেন ৮টি দেশ থেকে আসা ব্যক্তি। আর ২৩ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন বিদেশফেরত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে গিয়ে। বাকি দুজন কীভাবে সংক্রমিত হয়েছিলেন, তা অজানা। ২৫ মার্চ বলা হয়, সীমিত পরিসরে লোকাল ট্রান্সমিশন (স্থানীয়ভাবে সংক্রমণ) হয়ে থাকতে পারে।

৫ এপ্রিল রাজধানীর টোলারবাগ ও বাসাবো, নারায়ণগঞ্জ, মাদারীপুর (শিবচর) এবং গাইবান্ধা (সাদুল্যাপুর)—এই পাঁচটি জায়গাকে সংক্রমণের ক্লাস্টার (কাছাকাছি একই জায়গায় অনেক আক্রান্ত) হিসেবে চিহ্নিত করে আইইডিসিআর। এই পাঁচটি জায়গার চারটিতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা গেলেও নিয়ন্ত্রণের পুরোপুরি বাইরে চলে যায় নারায়ণগঞ্জ। ৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ লকডাউন ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। সেখান থেকে অনেকে ছড়িয়ে পড়ে দেশের বিভিন্ন জেলায়। ১০ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জকে সংক্রমণ ছড়ানোর কেন্দ্রস্থল হিসেবে চিহ্নিত করে আইইডিসিআর।
শুরু থেকে রাজধানীতে আক্রান্ত ছিলেন বেশি। এখনো মোট আক্রান্তের অর্ধেকের বেশি রাজধানীর বাসিন্দা। নারায়ণগঞ্জে আক্রান্ত হাজার ছাড়িয়েছে। এ ছাড়া গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ, চট্টগ্রাম, ঢাকা, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ জেলার প্রতিটিতে আক্রান্ত ১০০ ছাড়িয়ে গেছে।

আইইডিসিআরের পরামর্শক ও রোগতত্ত্ববিদ মুশতাক হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, দেশে মহামারির প্রথম ঢেউ চলছে। যুক্তরাষ্ট্রে চলছে দ্বিতীয় ঢেউ। একদিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপের সঙ্গে দেশের সংক্রমণের ধারার মিল রয়েছে। আবার অন্যদিক থেকে তুলনা করা যায় না। কারণ, ইতালির লোম্বার্ডি অঞ্চলে আর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ঘনীভূত মহামারি দেখা গেছে। তবে ইতিমধ্যে বাংলাদেশের সব জেলায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। এই রোগতত্ত্ববিদের মতে, ঈদ সামনে রেখে যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, তাতে ঝুঁকি বাড়ছে।

করোনা সংক্রমণের সময় নিয়ে নতুন তথ্য

চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে প্রথমে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। সময়টা বলা হচ্ছিল গত ডিসেম্বরের শেষের দিকে। কিন্তু এখন যুক্তরাজ্যের গবেষকেরা বলছেন, অক্টোবরের প্রথম দিক থেকে করোনার প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে থাকতে পারে। সারা বিশ্ব থেকে সংগ্রহ করা ভাইরাসটির সাত হাজার জিনোম সিকোয়েন্সের ক্রম বিশ্লেষণ করে এমন তথ্যই পেয়েছেন তাঁরা।
বিজ্ঞানীদের ওই গবেষণার সংক্ষিপ্ত নিবন্ধন গত মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে। প্রখ্যাত বিজ্ঞান সাময়িকী ইনফেকশন, জেনেটিকস অ্যান্ড ইভালুয়েশন-এর আগামী সংস্করণে গবেষণার পুরো নিবন্ধন প্রকাশিত হবে। ওই নিবন্ধনমতে, করোনার জীবাণু যেটি সার্স-কোভ-২ নামে পরিচিত, সেটি সম্ভবত গত বছরের ৬ অক্টোবর থেকে ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে যেকোনো সময়ে প্রাথমিক বাহক থেকে মানুষের শরীরে চলে আসে।

করোনার সাত হাজার জিনোম সিকোয়েন্সের ক্রম বিশ্লেষণ করে এমন তথ্যই পেয়েছেন গবেষকেরা।
চীনের উহানে গত ৩১ ডিসেম্বর অজ্ঞাত কারণে মানুষের নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি শনাক্ত করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। নতুন ভাইরাসটির জিনোম সিকোয়েন্স করে চীনের বিজ্ঞানীরা গত ৯ জানুয়ারি জানান, এটি সার্স করোনাভাইরাসের গোত্রের। এর দুই দিনের মাথায়, ১১ জানুয়ারি সংক্রমণে প্রথম মৃত্যু দেখে বিশ্ব। 

কিন্তু করোনা সংক্রমণ আরও অনেক আগেই শুরু হয় বলে অনেক বিজ্ঞানীদের মনে সন্দেহ ছিল। অনেক দেশ তো এই সংক্রমণের তথ্য লুকানোর অভিযোগ এনেছে চীনের বিরুদ্ধে। সেই বিতর্কের মধ্যে প্রথম সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার নতুন সময়কালের কথা জানালেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন এবং ইউনিভার্সিটি অব রিইউনিয়ন আইসল্যান্ডের গবেষকেরা ভাইরাসটির বিবর্তন ও ভাইরাসের জিনগত পরিবর্তন পরীক্ষার কাজ শুরু করেন। এ জন্য তাঁরা গত জানুয়ারি থেকে সারা বিশ্ব থেকে ভাইরাসটির ৭ হাজারের বেশি জিনোম সিকোয়েন্স ক্রম সংগ্রহ করেন। গত মাসে গবেষণাটি সম্পন্ন করতে সক্ষম হন তাঁরা। জিনোম সিকোয়েন্স ক্রম ও করোনার বিবর্তন বিশ্লেষণ ও পরীক্ষার পরই প্রাদুর্ভাব শুরুর সম্ভাব্য সময় চিহ্নিত করতে সক্ষম হন গবেষকেরা। মানুষের শরীরে প্রবেশের পর করোনাভাইরাসের প্রধান প্রধান জিনগত পরিবর্তনও শনাক্ত করতে সক্ষম হন গবেষকেরা।

অবশ্য অতীতের সব গবেষণায় প্রথম সংক্রমণের ভিন্ন ভিন্ন তারিখ এসেছে। তবে চীনের সরকারি নথির তথ্যে গত ১৭ নভেম্বর প্রথম সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত হয় সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট। করোনাভাইরাসের প্রথম পুরো জিনোম সিকোয়েন্সের তথ্য গত জানুয়ারিতে প্রকাশ করে চীনের সাংহাইয়ের একটি গবেষণাগার। পরে ভাইরাসের জিনোম বিশ্লেষণের আরও তথ্য প্রকাশিত হয়। ওই সময় বিজ্ঞানীরা বলেছিলেন, সার্স-কোভ-২ বাদুড় থেকে আসতে পারে এবং নভেম্বরের কোনো একসময় বাদুড় থেকে অন্য কোনো প্রাণী হয়ে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে জীবাণুটি।
কিন্তু যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা ভাইরাসের জিনগত পরিবর্তন ও বিবর্তনের পর্যায় নিয়ে গবেষণার পর প্রথম সংক্রমণের নতুন সময়কাল পেলেন।

তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে চলবে বিচার কাজ

চলমান করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতিতে প্রযুক্তির মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম চালানোর জন্য ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ-২০২০’ চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। রাষ্ট্রপতির অনুমতি পেলেই তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিচার কাজ চালানোর উদ্যোগ নিতে পারবে আদালতগুলো। বৃহস্পতিবার (৭ মে) বেলা ১১ টায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। করোনাভাইরাসের কারণে টানা একমাস পর সীমিত পরিসরে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি জানান, প্রস্তাবিত অধ্যাদেশটি কার্যকর হলে বিদ্যমান প্রেক্ষাপটে ভিডিও কনফারেন্সিংসহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হবে মর্মে আশা করা যায়। তিনি আরও বলেন, এছাড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাওয়া আরও দুটি আইন ও অধ্যাদেশ হলো- মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) আইন-২০২০ এবং ইনকাম ট্যাক্স (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২০। সীমিত পরিসরের মন্ত্রিসভা বৈঠকে উল্লিখিত তিনটি আইনি ও অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ৫০৫৪ জন নার্স নিয়োগ

কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানকারী হাসপাতালগুলোতে সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে পদায়নের জন্য ৫ হাজার ৫৪ জন নার্সকে সাময়িকভাবে নিয়োগ দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। তাদের সবাইকে আগামী ১৩ মের মধ্যে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগ দিতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ মে) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাদের নিয়োগের কথা জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গত ২৫ এপ্রিল করোনাভাইরাস মোকাবেলায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বরাবর ২ হাজার চিকিৎসক এবং ৬ হাজার নার্স নিয়োগের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ কর্ম কমিশন কর্তৃক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিকট সুপারিশকৃত নার্সের তালিকা থেকে আজ এই ৫০৫৪ জন নার্সকে সাময়িকভাবে পদায়ন করা হল। আগামী ১২ মে'র মধ্যেই ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের কাজও সম্পন্ন করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৮ সালের নার্স নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ৫ হাজার ৫৪ জন প্রার্থীকে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের অধীনে সিনিয়র স্টাফ নার্স পদে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ এর দশম গ্রেডে ১৬ হাজার টাকা-৩৮৬৪০ বেতনক্রমে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে সাময়িকভাবে নিয়োগ প্রদান করা হল।

নার্সদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে কিছু শর্তও দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে:

(১). প্রার্থীদের বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। প্রার্থীরা বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা না হলে নিয়োগ বাতিল হবে।
(২). বাংলাদেশের নাগরিক নন এমন কাউকে বিয়ে করা যাবে না বা তাদের বিয়ে করতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়া যাবে না।
(৩). সাময়িক নিয়োগের পর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে। তাতে অনুত্তীর্ণ হলে বা সে পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকলেও নিয়োগ বাতিল হবে।
(৪). উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক দাখিল করা প্রতিবেদন সন্তোষজন না হলে প্রার্থিতা বাতিল হবে।
(৫). সাময়িক নিয়োগ পাওয়া প্রার্থীদের দুই বছরকাল শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করতে হবে। সরকার চাইলে শিক্ষানবিশকাল আরও বাড়াতে পারে। শিক্ষানবিশকালে কোনো কারণে চাকরিতে অনুপযোগী বলে বিবেচিত হলে কোনো কারণ দর্শানো নোটিশ ছাড়াই ও পিএসসির পরামর্শ ব্যতিরেকেই তাকে অপসারণ করতে পারবে।
(৬). শিক্ষানবিশকাল সন্তোষজনকভাবে অতিক্রান্ত হলে তাকে চাকরিতে স্থায়ীকরণ করা হবে।
(৭). ১৩ মে তারিখের মধ্যে কাজে যোগ না দিলে ধরে নেওয়া হবে প্রার্থী এ চাকরিতে সম্মত নন। তার সাময়িক নিয়োগও তখন বাতিল হয়ে যাবে।
(৮). প্রার্থীকে একজন জামানতদারসহ ৩০০ টাকা মূল্যের নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে বন্ড সম্পাদন করতে হবে এ মর্মে, যদি শিক্ষানবিশকালে বা শিক্ষানবিশকাল উত্তীর্ণ হওয়ার তিন বছরের মধ্যে চাকরিতে ইস্তফা দেন, তাহলে শিক্ষানবিশকালে তিনি যে বেতন-ভাতা উত্তোলন করেছেন তা ও তার প্রশিক্ষণের জন্য ব্যয় হওয়া সমুদয় অর্থ তিনি ফেরৎ দিতে বাধ্য থাকবেন।
(৯). প্রার্থীর ইস্তফা সরকার কর্তৃক গৃহীত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি কাজে অনুপস্থিত থাকতে পারবেন না। যদি অনুপস্থিত থাকেন তবে তার নিকট সরকারের প্রাপ্য সমুদয় অর্থ পাবলিক ডিমান্ড রিকভারি অ্যাক্ট -১৯৯৩ এর বিধান অনুসারে আদায় করা হবে। সরকারি কর্মচারী বিধিমালা-২০১৮ অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
(১০). এ চাকরিতে যোগদানের জন্য তিনি কোনো ভ্রমণ ভাতা বা দৈনিক ভাতা পাবেন না।

করোনাভাইরাস: ৭ তারিখে নতুন ৭০৬ জনসহ মোট আক্রান্ত ১২৪২৫ জন

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন ৭০৬ জন, যা গতকালের তুলনায় ৮৬ জন কম। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনা পজিটিভ মোট শনাক্ত হলেন ১২ হাজার ৪২৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৩০ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হলেন ১ হাজার ৯১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর বিষয়টি পরে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।

বৃহস্পতিবার (৭ মে) বেলা ২টা ৩৮ মিনিটে দেশের কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিন অনলাইনে প্রচারিত হয়। বুলেটিনে ভিডিও কনফারেন্সে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।

অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫ হাজার ৮৬৭টি। এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ৫১৩টি। তিনি আরো জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ১০৭ জনকে, এখন পর্যন্ত মোট আইসোলেশনের সংখ্যা ১ হাজার ৭৭১ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৪৩ জন, এখন পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন ৯৫০ জন।

নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম মিলে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ২ হাজার ৩৩১ জনকে। এখন পর্যন্ত মোট ২ লাখ ৪ হাজার ৩১ জনকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড়া পেয়েছেন ২ হাজার ৯৬৭ জন, এখন পর্যন্ত মোট ছাড়া পেয়েছেন ১ লাখ ৬৩ হাজার ৫২৮ জন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪০ হাজার ৫০৩ জন।

করোনায় দেশে একদিনে সর্বোচ্চ ১৩ জনের মৃত্যু

করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) দেশে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ নিয়ে দেশে করোনা মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৯৯ জন। মৃত ১৩ জনের মধ্যে ৮ জন পুরুষ ও ৫ জন মহিলা। এদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ৬ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৪ জন, চল্লিশোর্ধ্ব দুজন এবং ১১ থেকে ২০ বছর একজন। ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী তরুণ ক্যান্সার আক্রান্ত ছিলেন।

এর আগে দুপুর আড়াইটার নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ হাজার ৮৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১ লাখ ৫ হাজার ৫১৩টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ৭০৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৪২৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ১৩০ জন। সব মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯১০ জন।

এছাড়া শেষ ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১০৪ জন। মোট আইসোলেশনে আছেন ১ হাজার ৭৭১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এসেছেন দুই হাজার ৩৩১ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে এসেছেন দুই লাখ চার হাজার ৩১ জন।

বুলেটিনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়। বুলেটিনে ডা. নাসিমা সুলতানা বিগত ২৪ ঘন্টায় করোনায় নিহতদের সংখ্যাটি প্রেস রিলিজের মাধ্যমে দিয়ে দেয়া হবে বলে জানান।

উল্লেখ্য, দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

নরসিংদীতে নতুন ২০ জনসহ করোনায় আক্রান্ত-২০৩, সুস্থ্য-১২৮, মৃত-৩জন

নরসিংদীতে গত  বুধবার  পাঠানো নমুনায় নতুন ২০জন করোনায় আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছে। মঙ্গলবার পাঠানো নমুনায় বেলাব উপজেলায় আক্রান্ত রোগী ১জন সনাক্ত হয়। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার (৭ মে ) পর্যন্ত  নতুন আক্রান্ত নরসিংদী সদর উপজেলার ১৩ জন (এর মধ্যে ২ জন পুরাতন রোগী আবার আত্রান্ত হয়েছে বলে জানা যায়), পলাশে (জিনারদী ইউনিয়নের)-৭জন সহ মোট আক্রান্ত ২০৩জন।

এ পর্যন্ত সর্বমোট ১২৮জন সুস্থ্য হয়েছেন। আইসোলেশনে রয়েছেন ৭৬জন। নরসিংদী জেলায় এ পর্যন্ত করোনা নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে সর্বমোট-১৪৫৫ জনের। নরসিংদী জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী মোট করোনায় আক্রান্ত নরসিংদী সদর উপজেলায়-১১১, সুস্থ্য-৭৩জন, শিবপুরে আক্রান্ত-১৮, সুস্থ্য-৩, পলাশ উপজেলায় আক্রান্ত-১৭, সুস্থ্য-২জন, মনেরহরদীতে আক্রান্ত-৫, সুস্থ্য-৫জন, বেলাব উপজেলায় মোট আক্রান্ত-২৫, সুস্থ্য-২৩জন ও রায়পুরা উপজেলায় আক্রান্ত-২৭, সুস্থ্য-২২জন।

নরসিংদী স্বাস্থ্য বিভাগের পাঠানো নমুনায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২জন, প্রকৃত পক্ষে মৃত্যুর সংখ্যা ৩জন।  নরসিংদী জেলা সিভিল সার্জন কর্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের মাঝের চর এলাকার নূর মোহাম্মদ (৫০) নামে একজন বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) রাতে নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) নরসিংদী শহরের ভাগদী মহল্লার আমজাদ হোসেন (৪৮)  সন্ধ্যা ৭টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল এর আইসিউতে মৃত্যুবরন করেন।

এ ছাড়া শনিবার (১৮এপ্রিল) ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরন  করেন আমির হোসেন। আমির হোসেন (৪৫) পাইকারচর ইউনিয়নের পুরানচর গ্রামের মৃত হানিফ প্রধান এর ছেলে । আমির হোসেন এর শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দিলে গত ১৭এপ্রিল জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে তিনি নিজ উদ্যোগে ঢাকা কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি হন। সেখানে পরীক্ষা করা হলে তার করোনা পজেটিভ রিজাল্ট আসে।

Thursday, May 7, 2020

আরো ৯৬০০ মেট্রিক টন চাল, সোয়া ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ

Wednesday, May 6, 2020

স্কুল-কলেজ ৩০ মে পর্যন্ত বন্ধ, আদেশ জারি

বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত ওই আদেশে বলা হয়, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সময় নিজেদের এবং অন্যদের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থান করবে এবং অভিভাবকরা তা নিশ্চিত করবেন।”

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সময় ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়মিতভাবে সংসদ টেলিভিশনে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ‘আমার ঘরে আমার স্কুল’ অনুষ্ঠানের শ্রেণি পাঠ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
আর কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে দূরশিক্ষণ পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে অধ্যক্ষদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সরকারের ‘সাধারণ ছুটির’ সঙ্গে রোজা ও ঈদের ছুটি মিলিয়ে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে বলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন মঙ্গলবারই জানিয়েছিলেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের নির্দেশে মাউশি বুধবার স্কুল-কলেজে বন্ধের সময়সীমা বাড়িয়ে আদেশ জারি করল।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ রয়েছে। সরকারি ছুটি বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ধাপে ধাপে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটির মেয়াদও বাড়ানো হচ্ছে।
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে গত ১ এপ্রিল থেকে নির্ধারিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত হয়ে গেছে, পিছিয়ে গেছে এসএসসির ফল প্রকাশ। 

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রথম সাময়িক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
 
Copyright © 2020 নরসিংদীর খবর ডট ব্লগ স্পট ডট কম. Designed by Babol