ভাইরাসটির আক্রমণে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা প্রভাবশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৭৬ হাজার ৯২৮ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ১২ লাখ ৯২ হাজার ৬২৩ জন।
মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরের অবস্থানে উঠে এসেছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার ৬১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৬ হাজার ৭১৫ জন।
মৃত্যুর তালিকার তিন নম্বরে রয়েছে ইউরোপের দেশ ইতালি। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৯ হাজার ৯৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ১৫ হাজার ৮৫৮ জন।
এর পরের অবস্থানেই রয়েছে স্পেন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৬ হাজার ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে অবশ্য ২য় অবস্থানে রয়েছে এ দেশটি। এখানে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৮৫৫ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
মৃত্যুর তালিকায় এর পরের অবস্থানে রয়েছে ফ্রান্স। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৫ হাজার ৯৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৭৪ হাজার ৭৯১ জন।
এদিকে জার্মানিতে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৪৩০ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার ৩৯২ জনের। তুরস্কে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৭২১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এখানে মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ৩ হাজারের বেশি মানুষের। রাশিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৭৭ হাজার ১৬০ জন, মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৬২৫ জনের। কানাডায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৪ হাজার ৯২২ জন, মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৪০৮ জনের।
ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয় চীনে। সেখানে এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮২ হাজার ৮৮৬ জন এবং মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৩৩ জন।
এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ইরানে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৩ হাজার ১৩৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৪৮৬ জনের।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ১২ হাজার ৪২৫ জনের শরীরে। এদের মধ্যে মারা গেছেন ১৮৬ জন এবং সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৫৩৩ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ১০ হাজার ৭০৬ জন।
ডিসেম্বরে চীনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া গেলেও বাংলাদেশে ভাইরাসটি শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। ওইদিন তিন জন করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা অনেকটাই সমান্তরাল ছিল। কিন্তু এরপর থেকে বাড়তে থাকে রোগীর সংখ্যা।
Post a Comment