বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা
অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত ওই আদেশে বলা হয়, “শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান বন্ধের সময় নিজেদের এবং অন্যদের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার লক্ষ্যে
শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থান করবে এবং অভিভাবকরা তা নিশ্চিত করবেন।”
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সময়
ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়মিতভাবে সংসদ টেলিভিশনে এবং সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যমে প্রচারিত ‘আমার ঘরে আমার স্কুল’ অনুষ্ঠানের শ্রেণি পাঠ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
আর কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের
জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে দূরশিক্ষণ পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম
অব্যাহত রাখতে অধ্যক্ষদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সরকারের ‘সাধারণ ছুটির’ সঙ্গে
রোজা ও ঈদের ছুটি মিলিয়ে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে বলে
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন মঙ্গলবারই জানিয়েছিলেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক
ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের নির্দেশে মাউশি বুধবার স্কুল-কলেজে বন্ধের সময়সীমা বাড়িয়ে আদেশ
জারি করল।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের
প্রেক্ষাপটে ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ রয়েছে। সরকারি
ছুটি বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ধাপে ধাপে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটির মেয়াদও বাড়ানো হচ্ছে।
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে গত
১ এপ্রিল থেকে নির্ধারিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত হয়ে গেছে, পিছিয়ে গেছে এসএসসির
ফল প্রকাশ।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায়
প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রথম সাময়িক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
Post a Comment