করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি কর্মহীনদের তাৎক্ষণিক মানবিক সহায়তা দিতে সপ্তম দফায় আরও ৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা এবং ৯ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
এর মধ্যে চার কোটি ৭০ লাখ টাকা ত্রাণ হিসেবে বিতরণের জন্য এবং এক কোটি
৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে শিশু খাদ্য কিনতে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় দেশের ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসকদের
অনুকূলে মঙ্গলবার এই বরাদ্দ দিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকে চিঠি
পাঠিয়েছে।
দেশে লকডাউন শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৬৪ জেলার দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সহায়তার
জন্য সরকার ৭২ কোটি ৫৭ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা এবং এক লাখ ৩৩ হাজার ৪৬৭ মেট্রিক টন চাল
বরাদ্দ দিল।
দুর্যোগ পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন নির্দেশিকা অনুসরণ
করে জেলা প্রশাসকদের এসব ত্রাণ বিতরণ করতে বলা হয়েছে।
পৌর এলাকায় বেশি সংখ্যক কর্মজীবী মানুষ বসবাস করে বলে জেলা প্রশাসকদের
বরাদ্দের ক্ষেত্রে পৌর এলাকাকে বেশি গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে।
বরাদ্দপত্রে বলা হয়েছে, ত্রাণ সামগ্রী হিসেবে শাক-সবজি কিনে বিতরণ করা
যেতে পারে। এছাড়া প্রত্যেক ত্রাণ গ্রহণকারীকে কমপক্ষে পাঁচটি করে গাছ লাগানোর অনুরোধ
করা যেতে পারে।
আর শিশু খাদ্য কেনার শর্তে বলা হয়েছে, শিশুখাদ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে সরকারি
ক্রয়বিধিসহ সংশ্লিষ্ট সব বিধি-বিধান ও আর্থিক নিয়ম যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে হবে। মিল্কভিটার
উৎপাদিত গুঁড়ো দুধ সরকারিভাবে কিনে ত্রাণ সামগ্রী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তবে
পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের এই দুধ দেওয়া যাবে না।
এছাড়া শিশু খাদ্য হিসেবে খেঁজুর, বিস্কুট, ফর্টিফায়েড তেল, ব্রাউন চিনি,
সুজি, মশুর ডাল, সাগু, ফর্টিফায়েড চাল, ওয়াটার পিউরিফায়ার ট্যাবলেট, বাদাম, মানসম্মত
রেডিমেড ফুড ইত্যাদি খাদ্যদ্রব্য স্থানীয়ভাবে কিনে বিতরণ করতে হবে।
জেলা প্রশাসকদের যথাযথ শর্ত অনুসরণ করে ছাড় করা অর্থে শিশু খাদ্য কিনে
তা বিতরণ করে নিরীক্ষার জন্য হিসাব সংরক্ষণ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
Post a Comment