করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। চীনের
উহানে চার মাসে আগে তাণ্ডব শুরু করে এই ভাইরাস। বর্তমানে চীনের গণ্ডি
পেরিয়ে বিশ্বব্যাপী ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে করোনা। ইতোমধ্যে এই ভাইরাস বিশ্বের
২১২টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।
এসব দেশে এখন পর্যন্ত (শুক্রবার বেলা সোয়া
১১টা) আক্রান্ত হয়েছে ৩৯ লাখ ১৭ হাজার ৯৪৪ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২
লাখ ৭০ হাজার ৭৪০ জনের।
করোনাভাইরাস এতটাই ভয়ঙ্কর যে বিজ্ঞানীরা
এর অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন আক্রান্ত পুরুষের শুক্রানুতেও। চীনের গবেষকরা এ
তথ্য জানিয়েছেন। সে অনুসারে, শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে করোনাভাইরাস
ছড়ানোর শঙ্কা আরও প্রকট আকারে দেখা দিয়েছে।
তবে আক্রান্ত পুরুষের শুক্রানুতে কী
পরিমাণ ভাইরাসের উপস্থিতি দেখা গেছে এবং শারীরিক সম্পর্কের ফলে করোনা
সংক্রমণ ঘটতে পারে কি না, সে ব্যাপারে গবেষকরা এখনও কোনও তথ্য প্রকাশ
করেননি।
চিকিৎসা বিষয়ক জার্নাল জামা নেটওয়ার্ক
গবেষণাটির ফলাফল প্রকাশ করেছে। চীনের শাংকিউ মিউনিসিপ্যাল হসপিটালের
গবেষকরা এ ব্যাপারে গবেষণাটি করেছেন।
শুক্রানুতে করোনাভাইরাস থাকার ব্যাপারে
গবেষণার ফল এটাই প্রথম পাওয়া গেল। করোনা পজিটিভ হলে নিরাপদ শারীরিক
সম্পর্কের বিষয়গুলো কেমন হবে, তা জানার জন্য নতুন গবেষণা দরকার বলে মনে
করছেন গবেষকরা। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, এই গবেষণা পরবর্তীতে করোনা সম্পর্কিত
শারীরিক সম্পর্কের বিষয়ে গবেষণার পথ উন্মোচন করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল
অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) চীফ মেডিকেল অফিসার জন ব্রুকস মনে করেন, এটা
চমৎকার ফল। তবে তিনি মনে করেন, এর অর্থ এই নয় যে শুক্রানু সংক্রামক হয়ে
উঠবে।
তিনি আরও বলেন, যখন আমরা সবখানে এই
ভাইরাসটি দেখছি, শরীরের বিভিন্নখানেই এর উপস্থিতি রয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তির
অবস্থানস্থলেও এই ভাইরাস পাওয়া যাচ্ছে। সে কারণে এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে
কিছু বলা কঠিন।
সিডিসির গবেষকরা মনে করেন, আক্রান্ত
ব্যক্তির হাঁচি-কাশি থেকে ছড়ানো ড্রপলেটের মাধ্যমে করোনাভাইরাস অন্যদের
শরীরে সংক্রমণ ঘটায়। শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে আরো নির্দিষ্ট করে বললে
শুক্রানুর মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের প্রমাণ তারা পাননি। সূত্র: দ্য
গার্ডিয়ান, সিএনএন
Post a Comment