BREAKING NEWS

Tuesday, May 5, 2020

একদিনে বাংলাদেশে করোনা শনাক্তের রেকর্ড ৭৮৬ জন, আক্রান্ত প্রায় ১১ হাজার

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন শনাক্ত হয়েছে ৭৮৬ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৮৩ জনের। আর সব মিলিয়ে শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার ৯২৯ জন।
 
আজ মঙ্গলবার (৫ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বুলেটিন প্রকাশে অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে দেশে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুবরণকারী একজন পুরুষ। তাঁর বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ১৮৩ জন। তিনি বলেন, এর মধ্যে দেশে করোনায় আমাদের বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যু হয়েছে আরো একজন চিকিৎসক কর্নেল (অব.) ডা. মনিরুজ্জামানের। আমরা তাঁদের বিদেহি আত্মার শান্তি কামনা করছি।
ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ছয় হাজার ১৮২টি। আর পরীক্ষা করা হয়েছে পাঁচ হাজার ৭১১টি। এর মধ্যে করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে ৭৮৬ জনকে। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৯২৯ জন। আর গত রবিবার (৩ মে) থেকে দেশের ৩৩টি প্রতিষ্ঠানে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

ডা. নাসিমা আরো জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরো ১৯৩ জন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে এক হাজার ৪০৩ জন।

আইসোলেশন প্রসঙ্গে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে আরো ১২৮ জনকে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত আইসোলেশনে আছেন এক হাজার ৬৯৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে মুক্ত হয়েছেন ৭০ জন এবং এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন এক হাজার ২৪৩ জন। সারা দেশে আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ৯ হাজার ৬৩৮টি। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে তিন হাজার ৯৪৪টি এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে আছে পাঁচ হাজার ৬৯৪টি।

কোয়ারেন্টিন প্রসঙ্গেও তথ্য দেওয়া হয় বুলেটিনে। বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন দুই হাজার ৪৭৭ জন। আর এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে গেছেন মোট এক লাখ ৯৭ হাজার ৮১১ জন। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন তিন হাজার ২৮৮ জন। আর এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন এক লাখ ৫৬ হাজার ৬৮৯ জন। ছাড়ের পর বর্তমানে হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪১ হাজার ১২২ জন।

সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৬১৫টি প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ৩০ হাজার ৯৫৫ জনকে সেবা প্রদান যাবে বলে জানানো হয় বুলেটিনে।
বুলেটিনে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বাতায়ন এবং আইইডিসিআর'র হটলাইনে কল এসেছে ৬৯ হাজার ৬২৪টি। এসব কলে যারা কভিড-১৯ বিষয়ে পরামর্শ চেয়েছেন তাদেরকে সে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত হটলাইনে ৪০ লাখ ৪৫ হাজার সাতজনকে কভিড-১৯ বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আর গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সংখ্যা বেড়েছে আরো ৩২ জন। এ নিয়ে এখন মোট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫ হাজার ৬২২ জন। এ ছাড়া বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে সেবা দিচ্ছেন চার হাজার ৪০ জন চিকিৎসক।

এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় মোবাইল ফোন এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ১৯ হাজার ৫৪৮ জনকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আর এ পর্যন্ত এ দুই মাধ্যমে ১৬ লাখ ৯৫ হাজার ৩৭৪ জনকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয় বুলেটিনে।

Share this:

Post a Comment

 
Copyright © 2020 নরসিংদীর খবর ডট ব্লগ স্পট ডট কম. Designed by Babol