স্বাস্হ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা।।ভৈরবে করোনায় আক্রান্ত ১১ জন রোগী প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেইন্টাইন ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরলেন। আজ রোববার সকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদেরকে সুস্হতার ছাড়পত্র দিলে দুপুর ২ টায় তাদেরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছার মাধ্যমে হাসপাতাল থেকে বিদায় দেয়া হয়। এসময় উপস্হিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুবনা ফারজানা, উপজেলা স্বাস্হ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ বুলবুল আহমেদ, ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মোঃ শাহিন। যারা করোনা থেকে মুক্তি পেলেন তারা হলো উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ কিশোর কুমার ধর, প্রাণ কোম্পানীর কর্মচারী রাজু আহমেদ এবং ৬ জন পুলিশ কনেস্টবেলের মধ্য যারা মোঃ আমিনুল ইসলাম, তানজিব আহমেদ, আঃ রহিম, সোনীয়া আক্তার, দুলাল কবির ও জামাল উদ্দিন। এছাড়া কিশোরগন্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ভৈরবের ব্যবসায়ী কাজী আবুল হোসেন ও তার দুই মেয়ে হালিমা তুয স্নিগ্ধা এবং নওশিন শার্মিলী নিরা করোনা থেকে সুস্হ হয়ে আজ বাসায় ফিরেছেন। এই তিনকে আজ রোববার সকালে কিশোরগন্জের মেডিকেল কলেজ থেকে সুস্হতার ছাড়পত্র দেয় কর্তৃপক্ষ। ভৈরবের ট্রমা সেন্টারে আজ তাদেরকেও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। করোনা থেকে সুস্হ হওয়া এই ১১ জনকে বিদায়ের সময় তাদেরকে স্বাস্হ্য বিভাগের পক্ষ থেকে প্রত্যেককে এক প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী ও একটি করে ফুল দেয়া হয়। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদেরকে বিদায় দিলে তারা তাদের বাসায় চলে যান। তারা এখন ১০ দিন হোম কোয়ারেইন্টাইনে নিজ নিজ বাসায় থাকবেন বলে জানান উপজেলা স্বাস্হ্য কর্মকর্তা।
করোনা থেকে সুস্হ হওয়া ডাঃ কিশোর কুমার ধর জানান, রোগীদের চিকিৎসা করতে গিয়েই আমি আক্রান্ত হয়েছিলাম। এখন আবার কাজে ফিরতে হবে। মানুষের সেবা করতেই ডাক্তার হয়েছি। করোনাকে ভয় না করে নিয়ম কানুন মেনে ঔষধ সেবন ও অন্যান্য নিয়ম পালন করলেই সুস্হ হওয়া যায় বলে তিনি জানান।
পুলিশ কনেস্টেবল আমিনুল ইসলাম জানান, করোনা থেকে মুক্তি পেয়ে নতুন জীবন ফিরে পেলাম। প্রায় ১৮ দিন ট্রমা সেন্টারে থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্হ হলাম। আজ পরিবারের কাছে ফিরছি, তাই ভাল লাগছে।
সাংস্কৃতিক কর্মী স্নিগ্ধা তার প্রতিক্রিয়ায় জানান, আমি আক্রান্ত হওয়ার দুদিন পর আমার বাবা ও ছোটবোন করোনায় আক্রান্ত হয়। এতে আমরা সবাই ভয় পেয়েছিলাম। কিন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়ে নিয়মিত ঔষধ সেবনসহ গরম পানির বাফ, গর্গল করা, লেবুর শরবত ও ফলমূল খেয়েছি। প্রতিদিন ব্যয়াম করেছি। নিয়ম মেনে চলেছি বলেই আমরা সুস্হ হলাম। করোনা থেকে মুক্তি পেয়ে আজ বাসায় মায়ের কাছে ফিরছি।
উপজেলা স্বাস্হ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ বুলবুল আহমেদ জানান, ভৈরবে এপর্যন্ত ৪৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৪ জন সুস্হ হয়েছে। আজ ট্রমা সেন্টার থেকে ৮ জন, কিশোরগন্জ থেকে ৪ জন এবং ঢাকা থেকে ২ জন মোট ১৪ জন করোনা মুক্ত হলো। তিনি বলেন নিয়ম মেনে চললে সবাই সুস্হ হবেন। সবাইকে সচেতন ও সতর্ক হওয়ার আহবান জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুবনা ফারজানা জানান, করোনা রোগীদের উৎসাহ দিতে আজ ১১ জনকে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রমা সেন্টার থেকে বিদায় দিলাম। তার মধ্য ৩ জন আজ রোববার সকালে কিশোরগন্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ থেকে চিকিৎসা করে সুস্হ হয়েছে।এই তিনজনকেও একসাথে বিদায় জানানো হয়।
Post a Comment